শেরপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মোটরসাইকেল প্রতিকের প্রার্থী, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক হুমায়ুন কবীর রুমান। ১২ অক্টোবর বুধবার দুপুরে শহরের খরমপুর এলাকায় তার নির্বাচনী প্রচারণা অফিসে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হুমায়ুন কবীর রুমান অভিযোগ করে বলেন, আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের হুইপ মো. আতিউর রহমান আতিক তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালকে বিজয়ী করতে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করে আসছেন। এজন্য তিনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোটার চেয়ারম্যান-মেম্বারদের টিআর প্রকল্পের সরকারি অনুদান বিলির আশ্বাস দিয়ে পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। হুইপ আতিউর রহমান আতিক যদি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এলাকা না ছাড়েন, তবে আমরা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামছুন্নাহার কামাল, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিজু, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বায়েযীদ হাছানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় সংসদ সদস্য হুইপ আতিউর রহমান বলেন, তিনি কোনভাবেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন না। বরং তিনি কিছুটা অসুস্থ থাকায় বাসায় চিকিৎসা ও রেস্ট নিচ্ছেন। তিনি কোন মেম্বার-চেয়ারম্যানকে জেলা পরিষদের নির্বাচনের ব্যাপারে প্রভাবিত করেননি। তিনি জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি নিজ বাড়িতে অবস্থান করা যাবে না এমন কোথাও লেখা নেই। যদি নিজ বাড়িতে অবস্থান করার নিয়ম না থাকে তবে তিনি থাকবেন না বলেও গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিত করেন। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সাথে তার একটি ছবি প্রদর্শনের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা যে ছবিটি দেখিয়েছেন সেটি সদ্য প্রয়াত নকলা উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফৌজিয়া হকের নামাজে জানাজার ছবি। সেই জানাজায় হুমায়ুন কবীর রুমান নিজেসহ তার অনুসারীরাও ছিলেন।
উল্লেখ্য, আগামী ১৭ অক্টোবর শেরপুর জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল, দলের বিদ্রোহী প্রার্থী, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক হুমায়ুন কবীর রুমান ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য জাকারিয়া বিষু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই নির্বাচনকে ঘিরে জেলায় এখন টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। ৫টি কেন্দ্রে মোট ৭৫৩ জন ভোটার এবার ভোট দিয়ে এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্য হতে পছন্দের প্রার্থীদের নির্বাচিত করবেন।
0 coment rios: