Showing posts with label রাজনীতি. Show all posts
Showing posts with label রাজনীতি. Show all posts

Wednesday, November 2, 2022

মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করতে বিসিএস কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান

মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করতে বিসিএস কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবীন বিসিএস কর্মকর্তাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশবাসীর ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি নবীন অফিসারদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ব হয়ে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ করার আহবান জানাচ্ছি।’

বুধবার সকালে বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে ১২৪তম, ১২৫ তম এবং ১২৬তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সসমূহের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন,পাকিস্তান আমলে কোনো বাঙালি একমাত্র কর্ণেল ছাড়া সচিব, জেনারেল ও মেজর জেনারেল হতে পারতো না।

তিনি বলেন, ‘এখন আপনাদের (সরকারি কর্মকর্তা) মনে রাখা উচিত দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমরা সব কিছুই হতে পারছি। সে কথা মনে রেখেই সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের ব্রত নিয়ে কাজ করার আহবান জানাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বিসিএস প্রশাসন একাডেমি মিলানয়তন শাহবাগে অনুষ্ঠিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত থেকে ৩টি ব্যাচের ১০৩ জন কর্মকর্তার হাতে সনদ তুলে দেন এবং ফটোসেশনে অংশ নেন।

সরকার প্রধান বলেন, আমাদের যারা নবীন অফিসার তাদের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। তিনি যখন কোন এলাকায় কাজ করেন তখন সেই এলাকার উন্নয়নে বিশাল   ভূমিকা রাখার সুযোগ পান।

প্রধানমন্ত্রী উদাহারণ দেন, কোথাও কাজে নিযুক্ত হলে বিভিন্ন জন বিভিন্ন দেন দরবার নিয়ে আসবে তবে সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে সঠিক পরিকল্পনানুযায়ী এগুতে হবে। তাহলেই আমরা সঠিকভাবে উন্নতি করতে পারবো। আমি চাই আমাদের নবীন অফিসাররা সেভাবেই ব্যবস্থা নিবেন।

কারণ, দেশের মানুষের কল্যাণ করার জন্যই বাপ-মা-ভাই হারিয়ে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন এবং জাতির পিতা যে ভাগ্যহত মানুষদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন তাদের মুখে তিনি হাসি ফোটাবেন-এটাই তাঁর লক্ষ্য।

সরকার প্রধান স্মরণ করেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতাকে নৃশংসভাবে হত্যার পর ’৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হবার পর প্রবাস জীবন কাটাতে বাধ্য হওয়া অবস্থা থেকে একরকম জোর করে দেশে ফিরে সমগ্র বাংলাদেশ তিনি চষে বেড়িয়েছেন। আর দেখেছেন হাড্ডিসার, কঙ্কালসার মানুষের সারি, পায়ে ন্যূনতম স্যান্ডেলটা নেই, ছিন্ন বস্ত্রের মানুষ।

তিনি বলেন, আমি দেখেছি আমার মা-বোনরা এক টুকরো কাপড়ের অর্ধেক শুকাচ্ছে অর্ধেক পরে আছে। প্রতি বছর মঙ্গা লেগে থাকতো আমরা ছুটে গেছি, লঙ্গরখানা খুলেছি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি, সরকার কি করছে সেদিকে দেখিনি। আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে সবসময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, কাজেই আজকের নবীন কর্মকর্তারা যখন বিভিন্ন এলাকায় কাজ করতে যাবেন তখন এই বিষয়টার দিকেই লক্ষ্য রাখবেন যে, মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলেন, সেখানেই তৃপ্ত। যতটুকু দিয়ে আসতে পারবেন সেটাই মানুষ মনে রাখবে।

প্রধানমন্ত্রী ১৯৭২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেয়া জাতির পিতার ভাষণের চুম্বকাংশ তুলে ধরে প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের আরো জনসেবায় নিবেদিত প্রাণ হবার পরামর্শ দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বলেছিলেন- সরকারি কর্মচারি ভাইয়েরা আপনাদের জনগণের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে হবে এবং জাতীয় স্বার্থকে সবকিছুর উর্ধেব স্থান দিতে হবে। 

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এখন থেকে অতীতের আমলাতান্ত্রিক মনোভাব পরিবর্তন করে নিজেদেরকে জনগণের খাদেম বলে বিবেচনা করতে হবে। অর্থাৎ জনগণের সেবক হিসেবেই নিজেদেরকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। আমি চাই জনগণের সেবা করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং উন্নত করতে হবে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম এবং একাডেমির রেক্টর (সচিব) মোমিনুর রশিদ আমিন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। ১২৪, ১২৫ ও ১২৬তম ব্যাচে শীর্ষস্থান অর্জন করে রেক্টরস পদক লাভকারি তানিয়া তাবাসসুম, মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ও ফারহানা নাসরিন অনুষ্ঠানে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রীর এই বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে দেয়া ভাষণের একটি সংকলণের মোড়কও উন্মোচন করেন।

বিসিএস প্রশিক্ষণ একাডেমির কর্মকাণ্ডের ওপর অনুষ্ঠানে একটি প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।

শেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

শেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন



শেরপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মোটরসাইকেল প্রতিকের প্রার্থী, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক হুমায়ুন কবীর রুমান। ১২ অক্টোবর বুধবার দুপুরে শহরের খরমপুর এলাকায় তার নির্বাচনী প্রচারণা অফিসে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হুমায়ুন কবীর রুমান অভিযোগ করে বলেন, আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের হুইপ মো. আতিউর রহমান আতিক তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালকে বিজয়ী করতে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করে আসছেন। এজন্য তিনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোটার চেয়ারম্যান-মেম্বারদের টিআর প্রকল্পের সরকারি অনুদান বিলির আশ্বাস দিয়ে পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। হুইপ আতিউর রহমান আতিক যদি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এলাকা না ছাড়েন, তবে আমরা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামছুন্নাহার কামাল, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিজু, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বায়েযীদ হাছানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় সংসদ সদস্য হুইপ আতিউর রহমান বলেন, তিনি কোনভাবেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন না। বরং তিনি কিছুটা অসুস্থ থাকায় বাসায় চিকিৎসা ও রেস্ট নিচ্ছেন। তিনি কোন মেম্বার-চেয়ারম্যানকে জেলা পরিষদের নির্বাচনের ব্যাপারে প্রভাবিত করেননি। তিনি জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি নিজ বাড়িতে অবস্থান করা যাবে না এমন কোথাও লেখা নেই। যদি নিজ বাড়িতে অবস্থান করার নিয়ম না থাকে তবে তিনি থাকবেন না বলেও গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিত করেন। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সাথে তার একটি ছবি প্রদর্শনের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা যে ছবিটি দেখিয়েছেন সেটি সদ্য প্রয়াত নকলা উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফৌজিয়া হকের নামাজে জানাজার ছবি। সেই জানাজায় হুমায়ুন কবীর রুমান নিজেসহ তার অনুসারীরাও ছিলেন।

উল্লেখ্য, আগামী ১৭ অক্টোবর শেরপুর জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল, দলের বিদ্রোহী প্রার্থী, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক হুমায়ুন কবীর রুমান ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য জাকারিয়া বিষু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই নির্বাচনকে ঘিরে জেলায় এখন টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। ৫টি কেন্দ্রে মোট ৭৫৩ জন ভোটার এবার ভোট দিয়ে এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্য হতে পছন্দের প্রার্থীদের নির্বাচিত করবেন।

বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে সক্রিয় থাকবে আ.লীগ

বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে সক্রিয় থাকবে আ.লীগ



ক্ষমতাসীন দল ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ৩০টি জেলা ও মহানগর কমিটির সম্মেলন করবে। যার মধ্য দিয়ে কর্মীদের সক্রিয় রাখবে।

  • বিএনপির বিষয়ে নতুন কৌশল পরবর্তী কর্মসূচি দেখে।

  • ডিসেম্বরের মধ্যে দল ও প্রশাসন গোছাতে চায় আওয়ামী লীগ। 

  • তারপর নির্বাচনী প্রস্তুতি ও বিরোধীদের বিষয়ে মনোযোগ বাড়াবে। 


বিএনপির আগামী দিনের কর্মসূচি ঘিরে রাজপথে সক্রিয় থাকবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও। ফলে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ও কর্মসূচি সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে। গত শনিবার রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের দিন আওয়ামী লীগ ঢাকা জেলা কমিটির সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কার্যত এ পাল্টাপাল্টি শুরু হয়ে গেছে। আগামী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ৩০টির মতো জেলা ও মহানগর কমিটির সম্মেলন করার কথা আওয়ামী লীগের। যার মধ্য দিয়ে কর্মীদের মাঠে সক্রিয় রাখবে দলটি।

৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশ। একই দিন কুমিল্লায় মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন করবে আওয়ামী লীগ। এতে দলের সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকতে পারেন। এরপর ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় বিএনপির গণসমাবেশের কর্মসূচি আছে, ওই দিন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন।

দলীয় সূত্র জানায়, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণার আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে কুমিল্লা মহানগরের সম্মেলন সম্প্রতি ঠিক হয়েছে।