Friday, November 4, 2022

৩৫০ হাত লম্বা পতাকা উড়াল ব্রাজিল সমর্থকেরা

৩৫০ হাত লম্বা পতাকা উড়াল ব্রাজিল সমর্থকেরা


 কাতার বিশ্বকাপের মূল পর্ব শুরু হতে এখনও প্রায় পনের দিন বাকি। তবে থেমে নেই প্রিয় দলের প্রতি ভক্ত-সমর্থকদের বাড়তি উন্মাদনা।

ফুটবল বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ভক্তরা করছেন নানান রকম অবাক কাণ্ড। এরই ধারাবাহিকতায় ৩৫০ হাত লম্বা পতাকা প্রদর্শন করেছেন যশোরের কেশবপুরের ব্রাজিলের ভক্ত-সমর্থকেরা।

শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে কেশবপুর উপজেলার জাহানপুরে স্থানীয় বাজার সংলগ্ন সড়কে এই পতাকা উড়িয়েছে স্থানীয় যুবকেরা। এ সময় তাদেরকে আনন্দ উল্লাস করতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, উপজেলার জাহানপুর গ্রামের ব্রাজিল ফ্যানস ক্লাবের সদস্য রিপন দাস, কিশোরী দাস, নয়ন দাস, মোহন দাস, সনাতন দাস, বিজয় দাস, সনজিৎ দাসসহ স্থানীয় একাধিক ব্রাজিল ভক্ত-সমর্থকেরা ৩৫০ হাত লম্বা এই পতাকাটি বানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ব্রাজিলের সমর্থক নয়ন দাস বলেন, সামনে ফুটবল বিশ্বকাপ। ব্রাজিল দলের প্রতি ভালোবাসা থেকেই তৈরি করা হয়েছে এ পতাকা।

কিশোরী দাস বলেন, ফুটবল খেলা বুঝতে শেখার পর থেকে ব্রাজিল দলের ভক্ত। তাদের দল এবারের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হবে।

‘আগামী বছরের জুনে কক্সবাজার যাবে ট্রেন’

‘আগামী বছরের জুনে কক্সবাজার যাবে ট্রেন’


 আগামী ২০২৩ সাল নাগাদ কক্সবাজার যাওয়া যাবে ট্রেনে করে। এ লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। এ প্রকল্পের জন্য অর্থ সহায়তা দিয়েছে দাতা সংস্থা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, এই রেললাইনের ৫০ কিলোমিটারের বেশি এখন দৃশ্যমান। এই প্রকল্পের প্রায় ৭৬ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ আগামী ২০২৩ সাল নাগাদ সম্পন্ন হবে। এই রেলপথ নির্মিত হলে তা দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও পর্যটন উন্নয়নকে আরও একধাপ এগিয়ে নিবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে দোহাজারি থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার, রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার ও রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকল্পটি বর্তমানে নির্মাণাধীন। ২০২৩ সালের জুন নাগাদ নির্মাণকাজ শেষ হলে জুলাই কিংবা আগস্টে ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে।

মোট ১০০ কিলোমিটারের এই রেলপথে মোট আটটি স্টেশন থাকছে। এই গুলো হলো কক্সবাজার সদর, ডুলাহাজারা, সাতকানিয়া, চকরিয়া, রামু, উখিয়া, ঈদগাঁও ও লোহাগড়া। সাঙ্গু, মাতামুহুরি ও বাঁকখালী নদীর ওপর তিনটি বড় সেতুও নির্মাণ করা হচ্ছে। সাতকানিয়ার কেঁওচিয়ায় ফ্লাইওভার, রামু-কক্সবাজারে দুটি হাইওয়ে ক্রসিং, বন্যপ্রাণীর চলাচলে ওভারপাস ও তিনটি আন্ডারপাস এই প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে। এ ছাড়া ১৪৪টি লেভেল ক্রসিং, ৪৩টি ছোট সেতু ও ২০১টি কালভার্টও নির্মাণ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, প্রকল্পের ৫০ কিলোমিটারের বেশি এখন দৃশ্যমান। অধিকাংশ ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণও প্রায় শেষ। বাকিগুলো আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই শেষ হবে। প্রত্যাশা করছি, ২০২৩ সালের জুন নাগাদ কাজ শেষ করতে পারবো।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কর্ণফুলী নদীর ওপর পদ্মা সেতুর আদলে আরেকটি নতুন রেলসেতু নির্মাণ করা হবে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ছয় হাজার ৩৪১ কোটি টাকা। কোরিয়ান সরকার এই রেলসেতুর সব ব্যয় বহন করবে। শিগগিরই এই সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হবে।

এইচএসএসি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা

এইচএসএসি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা

 


সারা দেশে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা রোববার (৬ নভেম্বর) থেকে শুরু হবে। এ বছর প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজবমুক্ত, নকলমুক্ত, সুষ্ঠু ও ইতিবাচক পরিবেশে পরীক্ষা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শনিবার (৫ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে এ নির্দেশনা জানানো হয়।

নির্দেশনায় জানানো হয়, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না।

পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেট কোড ঘোষণা করা হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজবসৃষ্টিকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কোনো প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক কোনোভাবে পাবলিক পরীক্ষায় বেআইনি কাজ করলে সে প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান-প্রধান ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং প্রয়োজনে পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিল করা হবে।

পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি (যেমন পরীক্ষার্থী, কক্ষ প্রত্যবেক্ষক, মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) ছাড়া অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।

প্রশ্নপত্র বিতরণের আগে সময়সূচি অনুযায়ী বিষয়, বিষয় কোড, পত্র ও সেট কোড নিশ্চিত হয়ে কক্ষ পর্যবেক্ষকরা বিতরণ করবেন।

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ ও বন্যার কারণে সরকার প্রায় সাত মাস পর এইচএসসি পরীক্ষা নিচ্ছে সরকার। এ বছর পরীক্ষায় মোট ১২ লাখ ৩ হাজার ৪৭ পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। ২০২১ সালে এ সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৮৩ জন।

সংশোধিত ও পুনঃবিন্যাসকৃত সিলেবাসে দুটি আবশ্যিক, তিনটি নৈর্বাচনিক এবং চতুর্থ বিষয়ে পরীক্ষা হবে। বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের এমসিকিউ ২৫টি প্রশ্নের ১৫টির উত্তর দিতে হবে; সময় থাকবে ২০ মিনিট। তত্ত্বীয় পরীক্ষায় আটটি প্রশ্নের মধ্যে তিনটির উত্তর দিতে হবে; সময় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।

অন্যদিকে মানবিক ও ব্যবসায় শাখায় এমসিকিউ ৩০টির মধ্যে ১৫টির উত্তর দিতে হবে; সময় থাকবে ২০ মিনিট। তত্ত্বীয় পরীক্ষায় ১১টি প্রশ্নের মধ্যে চারটির উত্তর দিতে হবে; সময় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।

ঢাকা মহানগরীর কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষা কেন্দ্রসমূহের ২০০ গজের মধ্যে পরীক্ষার্থী ছাড়া জনসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

Wednesday, November 2, 2022

বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে যে কাজগুলো করবেন

বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে যে কাজগুলো করবেন



চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে নিজেকে দক্ষ ও বুদ্ধিমান প্রমাণ করা কিন্তু সহজ নয়। এদিকে চাকরিদাতারা সব সময় বুদ্ধিমান ও চটপটে প্রার্থীই খোঁজ করেন। বুদ্ধিমত্তা বাড়ানোর জন্য আপনাকে মস্তিষ্কের ব্যায়াম করতে হবে এবং সেইসঙ্গে করতে হবে কিছু কাজ। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এমনকিছু সাধারণ কাজ সম্পর্কে, যেগুলো আপনার বুদ্ধিমত্তার উন্নতি করতে সাহায্য করবে-

চারপাশে মনোযোগ দিন

চারপাশের পরিবেশ এবং পরিস্থিতির দিকে গভীর মনোযোগ থাকলে তা আপনাকে অনেককিছু শিখতে সাহায্য করবে। যেমন অনুভূতি, আবেগ, যুক্তি ইত্যাদি সহজে বুঝতে পারবেন। কোনো মানুষ বা অন্যকিছুর দিকে গভীর মনোযোগ দিয়ে দেখলে আপনি নতুন কিছু শিখতে পারবেন। সেইসঙ্গে পাবেন নতুন কোনো দৃষ্টিভঙ্গিও।

পাজল মেলানো

মস্তিষ্কের ব্যায়াম হিসেবে পাজল মেলানো খুবই ভালো অভ্যাস। সুডোকু কিংবা শব্দ মেলানো মনকে উদ্দীপিত করে এবং দ্রুত সমাধানের জন্য উৎসাহিত করে। প্রতিদিন যদি পাজল মেলানোর অভ্যাস করেন তবে জীবনের নানা সমস্যার সমাধান করাও অনেক সহজ হয়ে যাবে। 

মেডিকেশন

মেডিকেশন বা ধ্যান আমাদের মনকে অনেকটাই উদ্দীপিত করে তোলে। এটি মন থেকে সমস্ত নেতিবাচক ও দূষিত চিন্তা দূর করে এবং সব সময় ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রাখে। সেইসঙ্গে এটি উদ্বেগ ও হতাশাও দূর করে। প্রতিদিন অন্তত ৫ মিনিট মেডিকেশন করলে তা আপনার বুদ্ধিমত্তা অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে। 

প্রতিদিন সংবাদপত্র বা অনলাইন পত্রিকা পড়ার মাধ্যমে খুব সহজেই দেশ ও চলমান বিশ্ব সম্পর্কে সম-সাময়িক ধারণা পেতে পারবেন। চারপাশে কী ঘটছে সে সম্পর্কে ধারণা রাখা অবশ্যই একটি দক্ষতা। কে এ সম্পর্কিত কিছু জানতে চাইলেও আপনি সহজে উত্তর দিতে পারবেন। এতে আপনার জ্ঞান সমৃদ্ধ হবে এবং বিশ্বের কোথাও কী ঘটছে সে সম্পর্কেও সচেতন থাকতে পারবেন।

বই পড়ুন

গল্পের বই কিংবা উপন্যাস পড়ার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার কল্পনাশক্তি বাড়িয়ে নিতে পারেন। একটি উপন্যাস যখন লেখা হয়, তার পেছনে লেখকের অপরিসীম সৃজনশীলতা থাকে। তাই বই পড়ার মাধ্যমে আপনার জ্ঞান তো সমৃদ্ধ হবেই সেইসঙ্গে কল্পনাশক্তি ও সৃজনশীলতাও বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে আপনি অন্যদের ভাবনা ও আবেগ সম্পর্কে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন।

কৌতুহলী হোন

পৃথিবীর কোথায় কী ঘটছে তা জানার জন্য যত বেশি কৌতুহলী হবেন, তত বেশি শিখতে ও জানতে পারবেন। তাই প্রশ্ন করতে শিখুন এবং পাজল মেলানোর অভ্যাস করুন। কারণ দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এগুলো খুবই কার্যকরী উপায়। আশেপাশের মানুষ, সহকর্মী, শিক্ষক, বস, অভিভাবক, আপনজন সবার সঙ্গে কথা বলুন। প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেই আপনি কোনো না কোনো জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন।

কটিয়াদীতে ঘুর্ণিঝড়ের রাতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৫

কটিয়াদীতে ঘুর্ণিঝড়ের রাতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৫

    



ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের রাতে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতির লুন্ঠিত মালামাল সহ ৪ ডাকাত ও জুয়েলারি ব্যবসায়ী কে কটিয়াদী পাকুন্দিয়া ও পাশ্ববর্তী জেলা গাজীপুরের চৌরাস্তা থেকে গ্ৰেফতার করে কটিয়াদী থানা পুলিশ। এই ঘটনায় আরো ২জন আসামি পলাতক রয়েছে। বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বিপিএম (বার)।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো- কটিয়াদী উপজেলার পাইকসা গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের পুত্র রিয়াজ উদ্দিন (৫০) ও একই গ্রামের মোহাম্মদ আলী, একই উপজেলা সাটিয়াদী গ্রামের আব্দুল খালেকের পুত্র বাচ্চু (৪০), আঃ কাদিরের পুত্র সুলতান (২৮), পাকুন্দিয়া উপজেলার তালদশি গ্রামের হরিপদ সাহার পুত্র বাপন সাহা (৩৫)। বাপন সাহা জুয়েলারি ব্যবসায়ী। ডাকাতির লুন্ঠিত মালামাল কেনার অপরাধে জুয়েলারি ব্যবসায়ী বাপন সাহা কে গ্ৰেফতার করা হয়।

পুলিশ সুপার জানান, ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের রাতে কটিয়াদী উপজেলার একটি বাড়িতে গভীর রাতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। কটিয়াদী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার পরের দিনই এজাহারভূক্ত আসামী সাদ্দাম (২২) ও মাহফুজ (২০) কে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ৩ জন, কটিয়াদী থেকে ১ জন, পাকুন্দিয়া থেকে ১ জনসহ মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সুপার আরো জানান, ডাকাতির পর বাদী ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অপর একজন কে নাম উল্লেখ না করে মামলা দায়ের করেন। ওদের মধ্যে দুজন কে ডাকাতিকালে চিনতে পারে বাদী। পরে এই দুজন কে গ্ৰেফতার করা হলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাকিদের কে গ্ৰেফতার করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাক সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নূরে আলম, হোসেনপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার, কটিয়াদী থানার ওসি (তদন্ত) কাজী মাহফুজ হাসান সিদ্দিকী ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই দুলাল মিয়া প্রমুখ।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বর্ণনা অনুযায়ী আসামী বাপন সাহার দোকান থেকে এক জোড়া স্বর্ণের দুল, দুইটি স্বর্ণের বালা, একটি স্বর্ণের চেইন, তিনটি স্বর্ণের আংটি ও স্বর্ণ বিক্রির নগদ ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাতির সাথে জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিদেরকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ।
রূপকথার মতো বদলে যাওয়া উপজেলার নাম কাঠালিয়া

রূপকথার মতো বদলে যাওয়া উপজেলার নাম কাঠালিয়া

 



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা মোতাবেক ব্যাপক উন্নয়নে গত কয়েক বছরের ব্যবধানে রূপকথার মতো সম্পূর্ণ রূপে বদলে গেছে বৃহত্তর বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠী জেলার কাঠালিয়া উপজেলার দৃশ্যপট।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ওই উপজেলার একসময়ের অসংখ্য অবহেলিত গ্রামীণ রাস্তাগুলো এখন কাপেটিং সড়কে রূপান্তরিত হয়েছে, কাঠালিয়া থেকে বেতাগী পয়েন্টে ফেরি স্থাপন করা হয়েছে, উপজেলা শহরের লঞ্চঘাটে স্থাপন করা হয়েছে আধুনিক ও প্রসস্থ পল্টুন, উপজেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বিশেষ বরাদ্দ, শারীরিক অক্ষম এবং প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ, দুঃস্থদের আর্থিক সহায়তা, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন ও ডিজিটাল ক্লাশরুমের ব্যবস্থা, কাঠালিয়ার ৬২টি, রাজাপুরের ৫৬টি, ঝালকাঠির ৫৯টি ও নলছিটি উপজেলার ৫১টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ, কাঠালিয়ার বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ, উপজেলার বিষখালী নদী তীরের আওরাবুনিয়া লঞ্চঘাট থেকে সাড়ে তিনশ’ মিটার জিওব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধ, শৌলজালিয়ার সোনারবাংলা বাজার রক্ষার্থে ১০০ মিটার, কচুয়া হাইস্কুল ও প্রাইমারি স্কুলের মাঠ রক্ষার্থে ২২৫ মিটার বাঁধের কাজ করে নদী ভাঙণের হাত থেকে রক্ষা করা হয়েছে।

এছাড়াও উপজেলার ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ক্রীড়া ক্লাবে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন গ্রামকে শহরে পরিণত করতে জনপ্রতিনিধি না হয়েও কাঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের কৃতিসন্তান ও তরুন সমাজসেবক আতিকুর রহমান রুবেলের নিরলস প্রচেষ্টায় উল্লেখিত উন্নয়নমূলক কাজগুলো সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব হিসেবে নিযুক্ত থাকা আতিকুর রহমান রুবেল বলেন, প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন অবহেলিত গ্রামগুলোতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটাতে। তাই প্রধানমন্ত্রীর সেই স্বপ্ন এখন বাস্তবে রূপ পেয়েছে একসময়ের অবহেলিত কাঠালিয়া উপজেলায়।

শাহরুখের জন্মদিনে যশরাজের বিশেষ উপহার

শাহরুখের জন্মদিনে যশরাজের বিশেষ উপহার

 



১৯৯৫ সালের দিপাবলীতে মুক্তি পেলেও ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’র উজ্জ্বল উপস্থিতি আজও সমান। ২৭ বছর পেরিয়েও রাজ-সিমরনের (ছবির চরত্রি) প্রেমকে টেক্কা দেবে, বলিউডে এমন প্রেমের গল্প নেই।

প্রেমের গান মানেই সেই ‘তুঝে দেখা তো ইয়ে জানা সনম’। শাহরুখ-কাজলের ম্যাজিক, সংগীত পরিচালক জুটি যতীন-ললিতের প্রেমের সুর। সব মিলিয়ে ‘ডিডিএলজে’ মাইলস্টোন। 

বর্তমান প্রজন্মের কাছে সেই ম্যাজিককেই ফিরিয়ে আনতে যশরাজ ব্যানার পর্দায় ফের নিয়ে আসছে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’। বুধবার (২ নভেম্বর) শাহরুখ খানের জন্মদিন উপলক্ষে ফের মুক্তি পাচ্ছে এই বলিউড ব্লক বাস্টার। ২ নভেম্বর ৫৭-এ পা দিলেন শাহরুখ খান।

যারা বড়পর্দায় এই ছবি মিস করেছেন, তাদের জন্য বলিউড বাদশার জন্মদিনে যশরাজ ফিল্মসের পক্ষ থেকে দারুণ সুযোগ এনে দিচ্ছে পিভিআর ও আইনক্স। 

বেসরকারি খাতের ওপর আস্থা রাখার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির

বেসরকারি খাতের ওপর আস্থা রাখার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির

 



বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ও দেশের রিজার্ভ ও বাজেট সীমাবদ্ধতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারীত্বে (পিপিপি) প্রকল্প গ্রহণ ছাড়া কোনো উপায় নেই। তাই পিপিপির উন্নয়নে প্রয়োজনে আইনে পরিবর্তন আনা হবে। 

শনিবার (২৯ অক্টোবর) এফবিসিসিসিআই আয়োজিত ‘ভিশন-২০৪১ অর্জনে পিপিপি’র ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমান আইনে পিপিপির প্রক্রিয়া দ্রুত করা সম্ভব কীনা, তা যাচাই করে দেখতে হবে। যদি দরকার হয়, আইনে পরিবর্তন আনতে হবে। কিন্তু এই পথেই যেতেই হবে।’ 

বিদ্যুৎ খাতে পিপিপি সফল হয়েছে মন্তব্য করে সালমান এফ রহমান বলেন, ২০০৯ সাল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিলো মাত্র ৪৫০০ মেগাওয়াট। কিন্তু আইন পরিবর্তন করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে বেসরকারি খাতের মোট ৫৪ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। বিদ্যুৎখাতের সফল পিপিপির কারণেই বর্তমান অর্থনৈতিক অগ্রগতি এসেছে। 

এসময় পিপিপিকে দ্রুত করতে, এর আওতায় দেয়া প্রকল্প প্রস্তাবে অর্থায়ন সক্ষমতার প্রমাণাদি দলিল সংযুক্ত থাকলে সেসব প্রকল্পকে ফাস্ট ট্রাক প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে বলে পরামর্শ দেন উপদেষ্টা। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ‘পিপিপির উন্নয়ন ছাড়া এসডিজি বাস্তবায়ন সম্ভব হবেনা। কেননা এসডিজি অর্জনের জন্য পিপিপির মাধ্যমে প্রায় ৬ শতাংশ অর্থায়ন করতে হবে। এছাড়াও সরকারের অন্যান্য উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সরকারের একার পক্ষে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ সম্ভব নয়। দেশে শক্তিশালী বেসরকারিখাত গড়ে উঠেছে। তাদেরকেও পিপিপির মাধ্যমেই উন্নয়ন কর্মকান্ডে সংশ্লিষ্ট করতে হবে।’

 অন্যদিকে আস্থাহীনতাকে পিপিপির উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা বলে মনে করেন বিশেষ অতিথি পিপিপি কর্তৃপক্ষের সিইও মোহাম্মদ ইব্রাহীম। সরকারের প্রতি বেসরকারি খাতকে অংশীদার হিসেবে দেখার মনোভাব তৈরি করার আহ্বান জানান তিনি। 

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘২০৩১ ও ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে হলে অবকাঠামো খাতে ব্যাপক পরিবর্তন করতে হবে। উৎপাদনের গতি আনতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গতি দ্বিগুণ করা ও চট্টগ্রাম বন্দরের টেস্টিং সুবিধা বাড়াতে হবে। এসব ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। এছাড়াও সরকারি শিল্প কারখানায় হাজার হাজার একর অব্যবহৃত জমি শিল্প স্থাপন ও সরকারি কারখানার আধুনিকায়নে পিপিপি মডেল ব্যবহারের পরামর্শ দেন সভাপতি।’ 

তিনি বলেন, ‘দেশের অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। তাদেরকে সরকারের প্রকল্প অংশীদার করলে অর্থায়ন সহজ হবে। সরকারের চাপ কমবে।’ 

ভারতকে হারাতে বাংলাদেশের দরকার ১৮৫ রান

ভারতকে হারাতে বাংলাদেশের দরকার ১৮৫ রান



সুপার টুয়েলভের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা তুলেছে ১৮৪ রান। জিততে হলে বাংলাদেশের দরকার ১৮৫ রান। 

ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার-প্লেতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি ভারত। তৃতীয় ওভারে অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে প্রথম সাফল্য এনে দেন হাসান মাহমুদ। ৬ ওভারে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৭ রান। 

গত তিন ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও তাসকিন দুর্দান্ত শুরু করেন। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারের মধ্যে তিনি ৩ ওভার করেন। প্রথম দুই ওভারে তিনি দেন মাত্র ১ রান। দ্বিতীয় ওভারে তার বলে জীবন পান রোহিত শর্মা। না হলে আগের তিন ম্যাচের মতো এদিনও বাংলাদেশকে শুরুর সফলতাটা তাসকিনই এনে দিতেন।

দীর্ঘদিন ধরে ফর্মে না থাকা লোকেশ রাহুল ফর্মে ফিরেছেন এ ম্যাচ দিয়ে। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৩১ বলেই তুলে নিয়েছেন ফিফটি। অর্ধশতক পূর্ণ করার ঠিক পরেই তাকে ফেরান সাকিব। মুস্তাফিজের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। 

ইনিংসের ১২তম ওভারে সাকিব একবার সূর্যকে ফেরানোর সুযোগ তৈরি করেছিলেন। তার বলে সুইপ করতে গিয়ে সূর্যর ব্যাটে টপ-এজড হয়ে বলটা উঠে গিয়েছিল আকাশে। তবে মুস্তাফিজ ক্যাচটা তালুবন্দি করতে পারেননি। তবে ২ ওভার পরে সেই সূর্যকে ফিরিয়েছেন সাকিবই, ৩০ রানে। 

মুস্তাফিজ-হাসানদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষদিকে রানের গতি কিছুটা কমে। হার্দিক পান্ডিয়া ও অক্ষর প্যাটেলকে দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই ফিরিয়েছেন হাসান মাহমুদ আর দিনেশ কার্তিক ফিরেছেন রান আউট হয়ে। 

বেশকিছু উইকেট হারিয়ে যখন কিছুটা ছন্দহারা ভারত তখন এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যান কোহলি। ৪৪ বলে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে এনে দেন ১৮৪ রানের বড় সংগ্রহ।     

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ। দুটি উইকেট গেছে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ঝুলিতে। 

মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করতে বিসিএস কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান

মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করতে বিসিএস কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবীন বিসিএস কর্মকর্তাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশবাসীর ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি নবীন অফিসারদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ব হয়ে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ করার আহবান জানাচ্ছি।’

বুধবার সকালে বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে ১২৪তম, ১২৫ তম এবং ১২৬তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সসমূহের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন,পাকিস্তান আমলে কোনো বাঙালি একমাত্র কর্ণেল ছাড়া সচিব, জেনারেল ও মেজর জেনারেল হতে পারতো না।

তিনি বলেন, ‘এখন আপনাদের (সরকারি কর্মকর্তা) মনে রাখা উচিত দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমরা সব কিছুই হতে পারছি। সে কথা মনে রেখেই সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের ব্রত নিয়ে কাজ করার আহবান জানাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বিসিএস প্রশাসন একাডেমি মিলানয়তন শাহবাগে অনুষ্ঠিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত থেকে ৩টি ব্যাচের ১০৩ জন কর্মকর্তার হাতে সনদ তুলে দেন এবং ফটোসেশনে অংশ নেন।

সরকার প্রধান বলেন, আমাদের যারা নবীন অফিসার তাদের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। তিনি যখন কোন এলাকায় কাজ করেন তখন সেই এলাকার উন্নয়নে বিশাল   ভূমিকা রাখার সুযোগ পান।

প্রধানমন্ত্রী উদাহারণ দেন, কোথাও কাজে নিযুক্ত হলে বিভিন্ন জন বিভিন্ন দেন দরবার নিয়ে আসবে তবে সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে সঠিক পরিকল্পনানুযায়ী এগুতে হবে। তাহলেই আমরা সঠিকভাবে উন্নতি করতে পারবো। আমি চাই আমাদের নবীন অফিসাররা সেভাবেই ব্যবস্থা নিবেন।

কারণ, দেশের মানুষের কল্যাণ করার জন্যই বাপ-মা-ভাই হারিয়ে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন এবং জাতির পিতা যে ভাগ্যহত মানুষদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন তাদের মুখে তিনি হাসি ফোটাবেন-এটাই তাঁর লক্ষ্য।

সরকার প্রধান স্মরণ করেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতাকে নৃশংসভাবে হত্যার পর ’৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হবার পর প্রবাস জীবন কাটাতে বাধ্য হওয়া অবস্থা থেকে একরকম জোর করে দেশে ফিরে সমগ্র বাংলাদেশ তিনি চষে বেড়িয়েছেন। আর দেখেছেন হাড্ডিসার, কঙ্কালসার মানুষের সারি, পায়ে ন্যূনতম স্যান্ডেলটা নেই, ছিন্ন বস্ত্রের মানুষ।

তিনি বলেন, আমি দেখেছি আমার মা-বোনরা এক টুকরো কাপড়ের অর্ধেক শুকাচ্ছে অর্ধেক পরে আছে। প্রতি বছর মঙ্গা লেগে থাকতো আমরা ছুটে গেছি, লঙ্গরখানা খুলেছি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি, সরকার কি করছে সেদিকে দেখিনি। আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে সবসময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, কাজেই আজকের নবীন কর্মকর্তারা যখন বিভিন্ন এলাকায় কাজ করতে যাবেন তখন এই বিষয়টার দিকেই লক্ষ্য রাখবেন যে, মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলেন, সেখানেই তৃপ্ত। যতটুকু দিয়ে আসতে পারবেন সেটাই মানুষ মনে রাখবে।

প্রধানমন্ত্রী ১৯৭২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেয়া জাতির পিতার ভাষণের চুম্বকাংশ তুলে ধরে প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের আরো জনসেবায় নিবেদিত প্রাণ হবার পরামর্শ দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বলেছিলেন- সরকারি কর্মচারি ভাইয়েরা আপনাদের জনগণের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে হবে এবং জাতীয় স্বার্থকে সবকিছুর উর্ধেব স্থান দিতে হবে। 

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এখন থেকে অতীতের আমলাতান্ত্রিক মনোভাব পরিবর্তন করে নিজেদেরকে জনগণের খাদেম বলে বিবেচনা করতে হবে। অর্থাৎ জনগণের সেবক হিসেবেই নিজেদেরকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। আমি চাই জনগণের সেবা করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং উন্নত করতে হবে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম এবং একাডেমির রেক্টর (সচিব) মোমিনুর রশিদ আমিন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। ১২৪, ১২৫ ও ১২৬তম ব্যাচে শীর্ষস্থান অর্জন করে রেক্টরস পদক লাভকারি তানিয়া তাবাসসুম, মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ও ফারহানা নাসরিন অনুষ্ঠানে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রীর এই বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে দেয়া ভাষণের একটি সংকলণের মোড়কও উন্মোচন করেন।

বিসিএস প্রশিক্ষণ একাডেমির কর্মকাণ্ডের ওপর অনুষ্ঠানে একটি প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।

মঠবাড়িয়ায় কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে এমপির মতবিনিময় সভা

মঠবাড়িয়ায় কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে এমপির মতবিনিময় সভা


পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. মো. রুস্তুম আলী ফরাজী। 

বুধবার সকালে কৃষি অফিস অডিটরিয়ামে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ আলোচনা সভার আয়োজন করেন।

এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম, মঠবাড়িয়া থানার ওসি অপারেশন আব্দুর হালিম, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান, সহকারি কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাকির হোসেন, কৃষি উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মহসীন উদ্দিন, ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী অনার্স কলেজের প্রভাষক মোতালেব হোসেন, মো. ফারুক হোসেন, উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফজলুল হক, সংসদ সদস্যের জন সংযোগ কর্মকর্তা আলী রেজা রঞ্জু প্রমুখ।

সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. মো. রুস্তুম আলী ফরাজী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা দেশের খাদ্য সরবরাহের পাশাপশি অর্থনৈতিক চাকা ঘোরাতে বিশাল ভূমিকা পালন করেন। 

সরকার কৃষিখাতে ভর্তুকি দিচ্ছেন। সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় প্রান্তিক কৃষকের মাঝে সত্তুর শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে পাওয়ার টিলার ও মাড়াই মেশিনসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ তুলে দিচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন দেশের কোথাও যেন ১ শতাংশ জমি অনাবাদি না থাকে । সেটা বাস্তবায়ন করার জন্য কৃষি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট লোকজনদের সতর্ক থাকার আহবান জানান তিনি।
শেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

শেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন



শেরপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মোটরসাইকেল প্রতিকের প্রার্থী, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক হুমায়ুন কবীর রুমান। ১২ অক্টোবর বুধবার দুপুরে শহরের খরমপুর এলাকায় তার নির্বাচনী প্রচারণা অফিসে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হুমায়ুন কবীর রুমান অভিযোগ করে বলেন, আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের হুইপ মো. আতিউর রহমান আতিক তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালকে বিজয়ী করতে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করে আসছেন। এজন্য তিনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোটার চেয়ারম্যান-মেম্বারদের টিআর প্রকল্পের সরকারি অনুদান বিলির আশ্বাস দিয়ে পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। হুইপ আতিউর রহমান আতিক যদি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এলাকা না ছাড়েন, তবে আমরা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামছুন্নাহার কামাল, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিজু, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বায়েযীদ হাছানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় সংসদ সদস্য হুইপ আতিউর রহমান বলেন, তিনি কোনভাবেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন না। বরং তিনি কিছুটা অসুস্থ থাকায় বাসায় চিকিৎসা ও রেস্ট নিচ্ছেন। তিনি কোন মেম্বার-চেয়ারম্যানকে জেলা পরিষদের নির্বাচনের ব্যাপারে প্রভাবিত করেননি। তিনি জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি নিজ বাড়িতে অবস্থান করা যাবে না এমন কোথাও লেখা নেই। যদি নিজ বাড়িতে অবস্থান করার নিয়ম না থাকে তবে তিনি থাকবেন না বলেও গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিত করেন। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সাথে তার একটি ছবি প্রদর্শনের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা যে ছবিটি দেখিয়েছেন সেটি সদ্য প্রয়াত নকলা উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফৌজিয়া হকের নামাজে জানাজার ছবি। সেই জানাজায় হুমায়ুন কবীর রুমান নিজেসহ তার অনুসারীরাও ছিলেন।

উল্লেখ্য, আগামী ১৭ অক্টোবর শেরপুর জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল, দলের বিদ্রোহী প্রার্থী, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক হুমায়ুন কবীর রুমান ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য জাকারিয়া বিষু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই নির্বাচনকে ঘিরে জেলায় এখন টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। ৫টি কেন্দ্রে মোট ৭৫৩ জন ভোটার এবার ভোট দিয়ে এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্য হতে পছন্দের প্রার্থীদের নির্বাচিত করবেন।

নকল ডিজাইনে তৈরি টাইগারদের বিশ্বকাপ জার্সি (ভিডিও)

নকল ডিজাইনে তৈরি টাইগারদের বিশ্বকাপ জার্সি (ভিডিও)




 খেলা পাগল সমর্থকদের কাছে নিজের দেশ, ক্লাব কিংবা প্রিয় খেলোয়াড়ের জার্সি মানেই বিশেষ কিছু। যার ফলে বিশ্ব ক্রীড়ায় খেলোয়াড়দের জার্সির প্রচুর চাহিদাও দেখা যায়।

২০২২ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জার্সি নিয়েও এবার আলোচনা ছিল তুঙ্গে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এক ভিডিও প্রকাশ করে টাইগারদের বিশ্বকাপ জার্সি অবমুক্ত করে। যেখানে তারা জানায়, এবারের জার্সিটি বাংলাদেশের ঐতিহ্য সুন্দরবন, রয়েল বেঙ্গল টাইগার এবং জামদানির কথা মাথায় রেখে বানানো হয়েছে।

তবে জার্সি উন্মোচনের সপ্তাহ না পেরোতেই জানা গেছে, এই জার্সি বানাতে কোনো চিন্তা-ভাবনাই খরচ করেনি কেউই। বরং অনলাইনে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের একটি ছবিকে নামিয়ে সেটা জার্সির মধ্যে বসিয়ে তৈরি করা হয়েছে এবারের বিশ্বকাপ জার্সি। অর্থাৎ, টাইগারদের বিশ্বকাপ জার্সির ডিজাইনটি চুরি করে করা বলে অভিযোগ উঠছে।

ইতোমধ্যে সেই ছবিটাও প্রকাশ পেয়েছে। ক্রিকসার্কেল নামক ক্রীড়া পেইজ বাংলাদেশের জার্সি এবং বাঘের সেই ডিজাইন তুলে ধরেছে। সেখানে বাংলাদেশের জার্সির ডিজাইন চুরির বিষয়েও অভিযোগ তুলেছে তারা। এই ডিজাইনটি ২০১৫ সালে পিন্টারেস্ট ওয়েবসাইটে প্রথম আপ করা হয়। আর বিসিবির জার্সি তৈরির কোম্পানিটি পিন্টারেস্ট থেকে সেই ছবিটি নামিয়ে বসিয়ে দেয় জার্সির গায়ে।

সেখানে তারা লিখেছে, ‘ক্রীড়ামোদিরা সবসময় জার্সির বিষয়টি নিয়ে সচেতন থাকে, এটা তাদের কাছে আবেগের মতো। একটি জার্সি তৈরির কোম্পানি বাংলাদেশি ক্রিকেট ভক্তদের এই আবেগ নিয়ে খেলা করছে। তারা সদ্যই ডিজাইন চুরি করেছে।

বাংলাদেশের ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জার্সিটির ডিজাইনটি সেই চুরির উদাহরণ। মানুষ যদিও শুরুতে জার্সিটি খুবই পছন্দ করেছে। তারা এর ডিজাইন এবং রঙ পছন্দ করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং মিডিয়াও বিষয়টি তুলে ধরেছে।

তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অরিজিনাল ডিজাইন দেখে মানুষের মতামত বদলে গেছে। জার্সি তৈরিকৃত প্রতিষ্ঠানটি বিসিবি, মিডিয়া এবং ভক্তদের বোকা বানিয়েছে।’

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জার্সি উন্মোচনের সেই ভিডিও:

এলপিজির দাম বাড়ল

এলপিজির দাম বাড়ল




 ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

বুধবার (২ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ নতুন দাম ঘোষণা করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান আবদুল জলিল।

তিনি জানান, বুধবার থেকে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম পড়বে ১ হাজার ২৫১ টাকা, এতদিন যার দাম ছিল ১ হাজার ২০০ টাকা। অর্থাৎ ১২ কেজির সিলিন্ডারে দাম বাড়ল ৫১ টাকা।

সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসি সচিব খলিলুর রহমান, সদস্য মোকবুল-ই ইলাহিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সোমালিয়ায় জোড়া গাড়িবোমা হামলা, নিহত অন্তত ১০০

সোমালিয়ায় জোড়া গাড়িবোমা হামলা, নিহত অন্তত ১০০



সোমালিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জোড়া গাড়িবোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০০ জন।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) দেশটির রাজধানী মোগাদিশুতে এ ঘটনা ঘটে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

পুলিশ কর্মকর্তা নুর ফারাহ’র বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, দুটি গাড়িবোমা মন্ত্রণালয়ের দেয়ালে আঘাত হানে। প্রথম বোমাটি আঘাত হানার পর অ্যাম্বুলেন্স ও লোকজন যখন হতাহতদের সরিয়ে নিতে আসে, তখনই দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি হয়।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দুটি বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের শব্দে আশপাশের অনেক ভবনের জানালার কাচ ভেঙে গেছে।

অস্ট্রেলিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ বাংলাদেশি নিহত

অস্ট্রেলিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ বাংলাদেশি নিহত




 অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের তিন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। রোববার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে ক্যানবেরার পশ্চিমের কপিনস ক্রসিং সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিদের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায়।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের শহীদুল ইসলাম (৬১), তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা (৫৪) ও তাদের ছেলে রনি (২১)। দুর্ঘটনায় শহীদুল ইসলামের আরেক ছেলে আনোয়ার জাহিদ গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি ক্যানবেরা হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ বলেছে, গাড়িটি চালাচ্ছিলেন আনোয়ার জাহিদ। কপিনস ক্রসিং সড়কে আরেকটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে শহীদুল ইসলাম, রাজিয়া সুলতানা ও তাদের এক ছেলে রনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। দুর্ঘটনার কারণ এখনো তদন্ত করছে তারা।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি হজ পালন শেষে ভ্রমণ ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিলেন তারা। পরিবারের বড় ছেলে অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী আনোয়ার জাহিদ একজন চিকিৎসক। তার বাবা শহীদুল ইসলাম বাংলাদেশের একজন অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও মা রাজিয়া সুলতানা একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক ছিলেন।

মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার সংবাদে শোকের ছায়া নেমেছে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে।

গাছের বোবা কান্না, শুনতে পায় না কেউ

গাছের বোবা কান্না, শুনতে পায় না কেউ

 



গাছেরও প্রাণ আছে, আছে অনুভূতি শক্তি। বিজ্ঞানের কল্যাণে এ কথা আজ আর কারও অজানা নয়। উদ্ভিদ বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু দেখিয়েছিলেন, উদ্ভিদেরও প্রাণীদের মতো সুখ-দুঃখের অনুভূতি আছে। এ ছাড়া উদ্ভিদ গরম, ঠান্ডা, শব্দ প্রভৃতিতে উদ্দীপিত হয়। তার আবিষ্কৃত ‘ক্রেস্কোগ্রাফ’ যন্ত্রের মাধ্যমে তিনি অতি সূক্ষ্মভাবে গাছের বৃদ্ধি মাপতে সক্ষম হন। প্রাণী ও উদ্ভিদের মাঝে অনেক সাদৃশ্যের প্রমাণও তিনি দেখিয়েছিলেন। যুগান্তকারী গবেষণা, সন্দেহ নেই। আসলে গাছের বোবা কান্না আমরা শুনতে পাই না। আর তা পাই না বলেই গাছের ওপর এমন যথেচ্ছাচার চালানো হয়।

গাছ কেটে, সবুজ ধ্বংস করে রেস্তোরাঁ বানানো যে কতটা অপরিণামদর্শী উদ্যোগ, সেটা বলে বোঝানো না। এর বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। মানুষের শরীরে পেরেক ঠুকলে যেমন কষ্টের অনুভূতি হয় ঠিক সমপরিমাণ কষ্ট অনুভূত হয় গাছেরও। প্রাণ থাকলেও গাছের যেহেতু প্রতিবাদ করার সামর্থ্য নেই, তাই তারা অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিচ্ছে। উন্নয়ন প্রকল্পের নামে সবুজ ধ্বংস করে আত্মহত্যার পথে এগোচ্ছে সমস্ত দেশ। শহরজুড়ে রাস্তাঘাট, আবাসন ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে। এক জায়গায় গাছ কাটার ক্ষতিপূরণ হিসেবে পরিপূরক গাছ রোপণ করার আইন রয়েছে। কিন্তু তাও মানা হচ্ছে না। অপরিণামদর্শী উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রধান বলি হচ্ছে গাছ। আর ক্রমাগত গাছ কমে যাওয়ার কারণে আমরা ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছি। গাছপালা ও বনভূমি কমে যাওয়ায় গোটা দেশ একটা জ্বলন্ত উনুনে পরিণত হয়েছে। বৃষ্টিপাত কমছে। উষ্ণতা বাড়ছে। বাড়ছে ধোঁয়া ও ধুলা। বাড়ছে দূষণ।

এই পৃথিবীতে মানব সভ্যতা এবং প্রাণীকুলের বেঁচে থাকার জন্য প্রধান যে উপাদানটি প্রয়োজন, তা হচ্ছে অক্সিজেন। আর এই অক্সিজেন উৎপন্নের প্রধান উৎসই হচ্ছে এই গাছ।গাছ পরিবেশ থেকে ক্ষতিকারক কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন সরবরাহ করে। সেই অক্সিজেন গ্রহণ করেই এই পৃথিবীতে বেঁচে আছে মানব সভ্যতা তথা প্রাণিকুল। গাছ মানুষকে অক্সিজেন, ফুল, ফল, ছায়া ও কাঠ দিয়ে যেমন সহযোগিতা করে অন্যদিকে ঝড়, জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকেও রক্ষা করে। গাছ নিজেকে নিঃস্বার্থে বিলিয়ে দিয়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে; অথচ পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এই গাছকেই আমরা ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য প্রতিনিয়ত নানানভাবে অত্যাচার, নির্যাতন করি। ফুল-ফল ও পাতা ছিঁড়ে দেই আবার কোথাও কোথাও বড় বড় লোহার পেরেক বিদ্ধ করে গাছের শরীরে ব্যানার, ফেস্টুন ও সাইনবোর্ড টাঙানোর মহোৎসবে মেতে উঠি। উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের মতে ১টি গাছ সারাজীবন যে পরিমাণ অক্সিজেন দেয়, তা সিলিন্ডার করে বিক্রি করলে তার বাজার মূল্য দাঁড়াবে কয়েক কোটি টাকা। অথচ সাম্প্রতিককালের করোনা মহামারি অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা ও অক্সিজেন স্বল্পতা সমস্ত বিশ্ববাসিকেই হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিয়ে গেছে। বিষয়টা একেবারেই স্পষ্ট যে গাছ না থাকলে অক্সিজেন শুন্য এই পৃথিবীতে মানুষ কিংবা কোনো প্রাণীকুলের অস্তিত্ব টিকে থাকার কোনো সুযোগ নেই।

প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে কখনও জীবিকার তাগিদে মহামূল্যবান এসব গাছ কাটার মহোৎসব চলছে সর্বত্র। গাছের গায়ে পেরেক ঠুকে সাইনবোর্ড-বিলবোর্ড লাগানো দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করে ২০০২ সালের ৭ জুলাই জাতীয় সংসদে আইন পাস হয়; আইন পাস হওয়ার পরও সে আইনের কোনো প্রয়োগ নেই বললেই চলে। ফলে গাছের শরীরে পেরেক ঠুকে বিজ্ঞাপন প্রচারের প্রতিযোগিতা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে সারাদেশে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর চা বেষ্টিত জেলা হবিগঞ্জ সদর উপজেলাসহ সমস্ত উপজেলা এবং মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা, শ্রীমঙ্গল ভটের মিল, রাজনগর, কুলাউড়াসহ খোদ পরিবেশ ও বন মন্ত্রীর নিজ এলাকা বড়লেখা শহরের আশপাশ, স্কুল, কলেজ এবং হাসপাতাল এলাকার সড়কের পাশে গাছে গাছে পেরেক মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রচারণার অসংখ্য ফেস্টুন ও ব্যানার।ফেস্টুনগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই বিভিন্ন কোচিং সেন্টার, ক্লিনিক, চিকিৎসক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক নেতাদের প্রচারণা। গাছের বাকশক্তি ও প্রতিবাদ করার ক্ষমতা নেই, তাই যে যার ইচ্ছেমতো নির্মমভাবে গাছে পেরেক বিদ্ধ করে বিজ্ঞাপন প্রচার করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রায় সারাবছরই পেরেক ঠুকে গাছে টাঙানো হয় ফেস্টুন, ব্যানার। ইদানিং হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার প্রায় সবকটি উপজেলাতেই বৃক্ষের গায়ে পেরেক মেরে ফেস্টুন লাগানোর পরিমাণ বেড়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনের সময় প্রায় এলাকাতেই পেরেক ঠুকে বৃক্ষে ফেস্টুন ব্যানার লাগানোর মহোৎসব চলে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ প্রচার-প্রচারণার জন্য ফেস্টুন বানিয়ে পেরেক ঠুকে গাছের শরীরে নির্বিঘ্নে লাগিয়ে যাচ্ছে। যেকোনো এলাকার সড়কের পাশের গাছ ও স্কুল-কলেজের সামনের গাছ এমনকি সরকারি আধাসরকারি বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের গাছগুলোর দিকে লক্ষ্য করলেই এমন নির্মম দৃশ্য এখন অহরহ দেখা যায়।

প্রতিটি গাছে ১৫-২০টি লোহার পেরেক আবার কোনো কোনো গাছে তা দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ পরিমাণে বিদ্ধ করতেও দেখা যায়। গাছ নিঃস্বার্থে মানবসভ্যতা তথা প্রাণীকুলের টিকে থাকার জন্য সৃষ্টির শুরু থেকে আজ অবধি বিশুদ্ধ অক্সিজেন বিলিয়ে যাচ্ছে। অথচ এক শ্রেণির মানুষ সেই জীবন রক্ষাকারী গাছের শরীরে লোহার পেরেক বিদ্ধ করে তাদের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বিজ্ঞাপন প্রচার করে আসছে দিনের পর দিন। গাছের শরীরে লোহার পেরেক বিদ্ধ করার ফলে গাছের গায়ে অসংখ্য ছিদ্র হচ্ছে। আর সেই ছিদ্র দিয়ে পানি ও বাতাস প্রবেশ করে গাছে পচন ধরে হাজার হাজার গাছের মৃত্যু হচ্ছে। গাছে লোহার পেরেক বিদ্ধ করে বিজ্ঞাপন প্রচারের কারণে শরীরে পচন ধরে মৃত্যুর তালিকায় শতবর্ষের স্মৃতিবিজড়িত অনেক গাছও রয়েছে। গাছে নির্মমভাবে লোহার পেরেক ঠোকার কারণে মৃত্যু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে হাজার হাজার গাছ। এমনিতেই একটি দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূখণ্ডের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা অপরিহার্য।

কিন্তু আমাদের দেশে বনভূমির পরিমাণ সরকারি হিসেবে অনুযায়ী ১৭ শতাংশ হলেও বাস্তবে তা নেই।বাস্তবে মোট যে পরিমান বনভূমি রয়েছে দেশের জনসংখ্যা ও আয়তনের তুলনায় তা খুবই অপ্রতুল। আমাদের চারদিকের পরিবেশ আজ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় আবহাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গাছ নেই তাই বৃষ্টিও হচ্ছে না। বৃষ্টির অভাবে আমাদের নিত্যজীবন বিপর্যস্ত। শুধু এটাই নয়, প্রকৃতি, বিশেষত গাছপালার, সংস্পর্শের অন্যান্য অনেক উপকারী প্রভাবও রয়েছে আমাদের জীবনে। চোখের আরাম, মনের শান্তি, নিজের সঙ্গে একাত্মতা গড়ে তোলার প্রক্রিয়া, সব ক্ষেত্রেই প্রকৃতি ও পরিবেশের ভূমিকার গুরুত্ব উল্লেখ করেছেন মনোবিদরা বারবার।

তথাকথিত উন্নয়ন থেকে শুরু করে প্রোমোটার এবং চুরির এক বিরাট চক্র আছে বৃক্ষনিধনের পেছনে। উন্নয়ন প্রসঙ্গে একটাই কথা বলার, কেমন করে গাছ বাঁচিয়ে রাস্তাঘাট, রেললাইন ইত্যাদি হবে, তা অবশ্যই ভাবতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। দিন দিন বনভূমির পরিমাণ আরও কমে যাচ্ছে। শুধু মৌলভীবাজার এবং হবিগঞ্জ জেলা-ই নয়, প্রায় সারাদেশেই গাছে পেরেক ঠুকে বিজ্ঞাপন ও ফেস্টুন টাঙানোর এ প্রতিযোগিতা বাড়ছে বৈ কমছে না। যা পরিবেশের জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বড় ধরনের অশনি সংকেত। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে বনবিভাগ এমনকি পরিবেশ রক্ষায় গঠিত সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজনদেরকেও উক্ত বিষয়টি নিয়ে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়না। এভাবে চলতে থাকলে ধীরে ধীরে এই দেশ এক দিন মানুষতো দূরে থাক প্রাণীকুলের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। বৃক্ষহী হয়ে পড়বে পরিবেশ। নেমপ্লেট বা সাইনবোর্ড সাঁটানোর একান্তই প্রয়োজন হলে গাছের গায়ে তার বা রশি দিয়ে বেঁধে রাখলেও পেরেকের নির্মম আঘাত থেকে বেঁচে যায় গাছগুলো। একই সঙ্গে বেঁচে যায় আমাদের চারিপাশের প্রকৃতি ও পরিবেশ। সুতরাং আর দেরি নয়, এখনই আমাদের বিবেককে জাগ্রত করতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না যে গাছেরও জীবন আছে। মানুষের শরীরে লোহার পেরেক ঠুকে দিলে যেমন কষ্ট অনুভূত হয় ঠিক সমপরিমাণ কষ্ট অনুভূত হয় গাছেরও।

একটিবার ভেবে দেখুন তো যে বৃক্ষমানব সভ্যতা কিংবা প্রাণীকুলের টিকে থাকার জন্য নিঃস্বার্থে জীবন রক্ষাকারী বিশুদ্ধ অক্সিজেন বিলিয়ে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত সেই জীবনরক্ষাকারী গাছগুলোকে আমরাই পেরেকের নিষ্ঠুর আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছি। লোহার পেরেকে বিদ্ধ হওয়া গাছগুলোর সেই বোবা কান্নাটা একটু শোনার চেষ্টা করুন। আজ থেকে বৃক্ষের গায়ে আর একটি পেরেকও নয়। মানব সভ্যতা কিংবা প্রাণীকুলের বেঁচে থাকার কথা চিন্তা করে হলেও গাছ রক্ষায় সকলকে সচেতন করে তুলতে হবে। পাশাপাশি বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে। বাড়ির পাশে ফেলে রাখা পরিত্যাক্ত ভূমি ফেলে না রেখে গাছ রোপণ করুন। এই গাছই আপনার অর্থনৈতিক সচ্ছলতা আনার সঙ্গে সঙ্গে মানুষসহ সমস্ত প্রাণীকুলের জীবন বাঁচাবে। যারা গাছের গায়ে পেরেক লাগায় এবং যারা লাগাতে চায় তাদের প্রত্যেককে সচেতন করে তুলতে হবে। গাছের গায়ে পেরেক মারা বন্ধে বনবিভাগ এমনকি স্থানীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টিও জরুরি।